🌎

ট্রাম্পের অস্ত্র চুক্তি: ইউক্রেনের জন্য কী অর্থ বহন করে?



ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য একটি নতুন অস্ত্র চুক্তির ঘোষণা করেছেন, যা কিয়েভের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। যদিও এটি বিশাল কোনো পরিবর্তন নয়, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ট্রাম্প মূলত ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করার মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে চান।


এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে, আমেরিকা ইউরোপের দেশগুলোকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করবে, যা তারা ইউক্রেনকে সরবরাহ করবে। জার্মানি, ফিনল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ডেনমার্কের মতো দেশগুলো এই অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে।


ঠিক কী ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্যতম। ইউক্রেন রাশিয়ার আকাশ হামলার বিরুদ্ধে আরও ভালো সুরক্ষা চায়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার আকাশ হামলা ৫০% বেড়েছে। জুনের ৯ তারিখে প্রায় ৫০০টি ড্রোন হামলা হয়েছে এবং গত সপ্তাহে এক রাতে ৭৪০টির বেশি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।


এক বছর আগের তুলনায়, ইউক্রেন প্রতিদিন গড়ে ২০০-৩০০ ড্রোন হামলার মোকাবিলা করত। এই বছরের জুনে, রাশিয়ান বাহিনী কর্তৃক উৎক্ষেপিত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা গত বছরের জুনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ছিল। এর ফলে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে। গত মাসে বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা যুদ্ধের শুরু থেকে সর্বোচ্চ ছিল। ২৩০ জনের বেশি নিহত এবং ১৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।


ট্রাম্পের এই ঘোষণা কিয়েভে স্বাগত জানানো হবে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা সীমিত। এটি মূলত দ্রুতগতির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে, কয়েক হাজার ডলার মূল্যের ড্রোনের বিরুদ্ধে ৩ মিলিয়ন ডলারের ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করা খুব একটা কার্যকর নয়। তাছাড়া, প্রতিদিন শত শত ড্রোন হামলা হলে ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের সরবরাহ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।


তবে, এই চুক্তির বিস্তারিত বিষয় এবং রাশিয়াকে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা ট্রাম্প কতটা কঠোরভাবে পালন করেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।


स्रोत : Sky News