মিঠু মুরাদ লালমনিরহাট প্রতিনিধি :-
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচীর ৭জন ৯৫৬০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্য শ্রমের মুল্য বুঝে পাবার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ দিলেও বিষয়টি কেহ আমলে নেয়নি।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ২৭ জানুয়ারীতে প্রকল্পে তালিকাভুক্ত ৭ অতিদরিদ্র হলেন, ঐ ইউনিয়নের ভেলাগুড়ি এলাকার জ্যোতিষ্ঠির রায় (উপকারভোগীর নামের তালিকায় তার ক্র.নং- ১৩৮), উঃ জাওরানীর সহিদ মিয়া (ক্র.নং- ১৪৫), শেমলী রানী (ক্র.নং- ১২৭), পুর্ব কাদমার ননি গোপাল (ক্র.নং- ১১৭), দঃ জাওরানীর সুজগ চন্দ্র রায় (ক্র.নং- ১৩০), সন্ধ্যা বালা (ক্র.নং- ১৩১) ও জয়ন্তী রানী (ক্র.নং- ১৪৪)।
জানা গেছে, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় ৬ ফেব্রুয়ারি হতে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ১৫০ জন সুবিধাভোগী ৩৪দিন সঠিকভাবে কাজ করেন। কাজ শেষে দুই কিস্তিতে ১৪৩ জন উপকারভোগী ১৩৬৫৮ টাকা করে পেলেও নির্বাচনী প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘদিনে টাকা পাননি ৭জন অতিদরিদ্র। সরকারি তালিকা মোতাবেক ৩৪দিন কাজ করেও প্রাপ্য শ্রমের মুল্য না পাবার বিষয়টি তারা ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডলকে জানালে তিনি তাদেরকে টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজকাল করে কালক্ষেপ করতে থাকে।
এরপর এসব গরীব অসহায় দিনমজুর তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করার প্রাপ্য শ্রমের মুল্য বুঝে পাবার জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও জেলা দুদক অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলেও আজও বিষয়টি কেউ আমলে নেননি বলে তারা জানান।
প্রকল্পে তালিকাভুক্ত অতিদরিদ্র জ্যোতিষ্ঠির রায় বলেন, আমরা আমাদের প্রাপ্ত কাজের পারিশ্রমিক চাই। কাজ করেও টাকা না পেয়ে আমরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। এর চাইতে ঐ দিন গুলো আমরা ভিক্ষা করলে হয়তো দুই চার টাকা পেতাম। তা দিয়ে বালবাচ্চাদের খাওয়াতে পারতাম। কাজ করার সময় বিভিন্ন দোকানে বাকিতে খরচ করার ফলে এখনও তাদেরকে টাকা দিতে না পারার ফলে পাওনাদারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল আমাদেরকে হাতে হাতে টাকা দিতে চাইলে আমরা সেটা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিতে চাইলে তিনি সে টাকা আর দিবেন বা বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
প্রকল্পে তালিকাভুক্ত শেমলী বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ। সরকার আমাদেরকে কাজের বিনিময়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেও আজ ইউপি চেয়ারম্যানের কারণে কাজ করেও কোন টাকা পাচ্ছিনা। আমরা আমাদের প্রাপ্য শ্রমের মুল্য চাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে একই সুরে কথা বলেন। তালিকায় ঐ ৭ জনের না থাকার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তাদের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা দেয়ার ফলে তারা টাকা পায়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, এবিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পত্র হাতে পাইনি তবে তারা অভিযোগ পত্র দিয়ে থাকলে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা, বাংলাদেশ। বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৩:৫১ |
সূর্যোদয় | ভোর ৫:১৫ |
যোহর | দুপুর ১১:৫৫ |
আছর | বিকাল ৪:৩৩ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:৩৫ |
এশা | রাত ৭:৫৯ |
About Us Contact Privacy & Policy DMCA Sitemap
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সেরা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম - ২০১৮