জুবায়ের হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরের দিকে৷ করোনার থাবায় মার্চের দিকে কার্যক্রম স্থগিত রাখে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন পূরনে অংশগ্রহণ করে দারিদ্র্য বিমোচন করা।
যাত্রাতেই ফলপ্রসূ হয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম, ব্যপকভাবে সাড়াও পেয়েছিলো। করোনার থাবায় থেমে পড়া সাধারণ মানুষের জীবনে ফিরে জেগে উঠেছিলো নতুন আশা।
দারিদ্র্যতার যুদ্ধে জয়ী হতে সহযোগিতা করা প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে জনসাধারণের নিকট জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান সদস্য প্রায় ২২লক্ষেরও বেশি। এমনটাই জানা যায় তাদের ওয়েবসাইট থেকে।
এসপিসির কর্মকর্তা জি.এম আদনান (ফেসবুক লাইভে) জানান; হঠাৎ গত ২৬শে অক্টোবর ডিবি পুলিশ এসপিসি অফিস পরিদর্শনে আসে। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লাইসেন্স তাদের নিকট তুলে ধরি। এব্যাপারে বাকীটা মিডিয়ায় পরবর্তীতে তুলে ধরবো।
তবে এতটুকু বলছি যে, গত ৩ই নভেম্বর আপনারা দেখেছেন যে, কিভাবে আমরা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছি। প্রকৃত ঘটনা এই যে, আমরা কোন মানিলন্ডারিংয়ের সাথের জড়িত নই।
আপনারা এসপিসির সদস্যদের নিকট আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন৷ আমি সরকারের কাছে আমাদের এমডি আল-আমিন স্যারসহ বাকী সদস্যেদের মুক্তি এবং এসপিসির এর সকল কার্যক্রম পুনরায় চালুর মাধ্যমে জনসাধারণের দারিদ্র্যতার হার কমিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরনের জন্য আকুল আবেদন জানাই।
এব্যাপারে এসপিসি এর মার্কেটিং ম্যানেজার অর্জুন চ্যাটার্জীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেখা গেছে এসপিসির সদস্যরা জানাচ্ছেন যে, আমাদের কোন টাকা এসপিসি আত্মসাৎ করেনি, সরকারের নিকট আমাদের আবেদন এসপিসির এম.ডি আল-আমিন স্যারসহ বাকী সদস্যদের মুক্তি দিন এবং আমাদের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে দিন।
আজ (৪ই নভেম্বর) এসপিসি অফিসের সামনে ভীড় করা সদস্যরা জানান, আমাদের কর্ম সংস্থান ফিরিয়ে দিন নয়তো আমাদের মেরে ফেলুন, আমরা কি অপরাধ করেছি। আমরা ঋণ নিয়ে ইনভেস্ট করেছি, এখন কিভাবে কিস্তি দিবো! এসপিসি তো কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠান নয়, সরকার থেকে লাইসেন্স নিয়েই তো তারা কাজ করছে তবে কেন আমাদের জীবন নিয়ে খেলছেন!
এসময় এসপিসির বিভিন্ন পর্যায়ের টিম লিডাররা জানান, শীঘ্রই যদি এসপিসির সকল কার্যক্রম চালু না হয়, তাহলে সারাদেশের রাজপথে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবী জানান, এসপিসি যদি কোন প্রতারণামূলক ই-কমার্স কোম্পানি না হয়ে থাকে তাহলে তাদের কোম্পানি সচল করে দেওয়া কিংবা এটি যদি প্রতারণামূলক কোম্পানি হয়ে থাকে তাহলে তাদের প্রায় ২২লক্ষ গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে সরকার জনসাধারণের পাশে দাড়াতে পারে। কেননা মামলার মাধ্যমে সমাধানে আসা অনেক সময়ের ব্যাপার।
ঢাকা, বাংলাদেশ। শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:২৩ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৪১ |
যোহর | দুপুর ১২:১১ |
আছর | বিকাল ৪:০৬ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৫:৪২ |
এশা | রাত ৭:০০ |
About Us Contact Privacy & Policy DMCA Sitemap
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সেরা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম - ২০১৮