লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান। বিএনপির দুর্দিনে, দুঃসময়েও কর্মীদের পাশে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু উত্তপ্ত হলে জেলার অধিকাংশ নেতারাই চিকিৎসার নাম করে বিদেশ কিংবা ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপনে থাকেন। তখনো হামলা, মামলার শিকার নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সবসময় পাশে থাকেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলে, মামলায় পড়লে সবার আগে আইনী সহযোগীতা তিনিই করেন। তাই তিনি অনুকরণীয় ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে। ১/১১ এর পর দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল নেতা আত্মগোপনে চলে গেলে এ্যাডভোকেট হাছিব অত্যন্ত দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে সংগঠনকে আগলে রেখেছিলেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষদের কাছ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অত্যান্ত নিরঅহঙ্কার ও বিনয়ী এ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৬নং বাঙ্গাঁখা ইউনিয়নের ধোলাকান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, ১৯৮৬ সালের আগষ্ট মাসে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক, নভেম্বর মাসে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে জেলা বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, ১৯৯৭ইং সালে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, ২০০৩ ও ২০০৯ সালে পর-পর ২ মেয়াদে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজনীতির বাইরে আইন পেশায়ও তিনি যথেষ্ট সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। শুধু বিএনপিই নয়, দলমত নির্বিশেষে লক্ষ্মীপুর জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে তিনি একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি’র আগামী কাউন্সিলে তিনি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী। দলের অনেক নেতাকর্মীর সাথে আলোচনা করে জানা যায়, সাধারন সম্পাদক পদে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থী। কারন দল ক্ষমতায় থাকার সময়েও তিনি লোভ লালসার উর্ধ্বে থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই জেলা বিএনপি তাঁর কাছে নিরাপদ বলে মনে করেন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
About Us Contact Privacy & Policy DMCA Sitemap
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সেরা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম - ২০১৮