ডেস্ক::নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নদীতে ব্রিজ নির্মাণ কাজের ফাইলিং ফিলারের নিচে চাপা পড়ে রিফাত মিয়া (১৮) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক ও তামীম (৭) নামে অপর এক শিশুর মৃত্য হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার তেথুলিয়া ইউনিয়নের পাইকুরা ও জৈনপুর গ্রামের মাঝামাঝি বেথাই নদীর ওপরে ব্রিজ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৪৫ ফুট লম্বা ফাইলিং ফিলারটি পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই ওই দুইজনের মৃত্যু হয়।
নিহত নির্মাণ শ্রমিক রিফাত শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রখোলা গ্রামের আন্নেছ আলীর ছেলে। সে গত ৩-৪ দিন ধরে ওই ব্রিজ নির্মাণ কাজে শ্রমিকের কাজে যোগদান করে। এ ছাড়া নিহত শিশু তামীম বেথাই নদীর সংলগ্ন পাইকুরা উত্তর পাড়া গ্রামের হবিক মিয়ার ছেলে ও সে বড় পাইকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘটনার সময় তামীম নদীতে গোসল করছিল।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের অধীনে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বেথাই নদীর ওপরে ৬৩ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আবুল কালাম আজাদ নামে ওই ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের লোকজন নদীর পশ্চিম পাড়ে ফাইলিংয়ের কাজ করছিলেন।
এ সময় হঠাৎ করে ফাইলিংয়ের জন্য মোটা লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি প্রায় ৪৫ ফুট লম্বা ফিলারটি হেলে পড়ে যায়। এ সময় ওই ফিলারটির নিচে থাকা নির্মাণ শ্রমিক রিফাত মিয়া ও তার পাশে নদীর হাঁটু পানিতে নেমে গোসল করারত অবস্থায় শিশু তামীম ফিলারের নিচে চাপা পরে ঘটনাস্থলে তারা দুইজনেই মারা যায়।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি আনসারী জিন্নাৎ আলী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং দুর্ঘটনায় নিহত নির্মাণ শ্রমিকের মৃত দেহ তার স্বজনরা বুঝে নিলেও শিশু তামীমের লাশের বিষয়ে তার বাবা হবিক মিয়া সিলেট থেকে আসার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা উল্লেখ করে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কি কারণে ওই ফাইলিং ফিলারটি এভাবে ধসে পড়েছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
About Us Contact Privacy & Policy DMCA Sitemap
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সেরা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম - ২০১৮