হাঁকডাকে সরগরম মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের ঐতিহ্যবাহী পদ্মা-যমুনাসহ মুক্ত জলাশয়ের দেশীয় মাছের আড়ত। নদী ও মুক্ত জলাশয়ের বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ও টাটকা মাছ কম দামে পেয়ে খুশি জেলাসহ রাজধানীর পাইকাররা। আর আড়তের নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন আড়ত কমিটির নেতা।
প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠে মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী যমুনার পাড়ের আরিচা ঘাটের পদ্মা-যমুনা, ইছামতিসহ মুক্ত জলাশয়ের দেশীয় মাছের আড়ত।
রুই, কৈই, ছোট বাইম টেংরা, শোল, আইড়, পাঙাশ, নোওলা, টাটকিনি, গাইরা, বোয়ালসহ দেশীয় মাছের সরবরাহ থাকায় জেলাসহ রাজধানী ও তার আশপাশের পাইকারদের কদর একটু বেশি রয়েছে। টাটকা ও দাম কম থাকায় পাইকার ছাড়াও সাধারণ ক্রেতার সংখ্যার ছিল একটু বেশি।
তবে রোববার (২৯ নভেম্বর) দাম না পেয়ে হতাশ জেলেরা আর কমে পেয়ে খুশি পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা। নদীতে চর পড়ায় মৎস্য শিকারদের ঘাটে আসতে বেগ পাওয়া ছাড়াও নদীভাঙনে আড়তের জায়গা কমে আসায় বছরের পর বছর নানা সমস্যার মধ্যে পড়েছে আড়তটি।
প্রতি কেজি কই বিক্রয় হয়েছে পাইকারী ২০০ থেকে ২৭০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট বাইম, টেংরা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, শোল ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা, আইড় ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা, পাঙাশ ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, নোওলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, নদীর টাটকিনি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, গাইরা ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, বোয়াল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ আড়তে অর্ধশতাধিক আড়তদার ও দুই শতাধিক পাইকারদের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।
জেলে আরিফ বলেন, এখন নদীতে শীত পড়তে শুরু করেছে শেষ রাতে কুয়াশা পড়ে। রাতভর পদ্মা থেকে ৬ জন মিলে ছোট দুটি বোয়াল ও কিছু মাছ পেয়েছি। এতে আড়তের যে অবস্থা আড়তদাররা সঠিক দাম দেয় না।
মুক্ত জলাশয়ের কই নিয়ে এসে হাঁকডাকে এক খারি মাছ ৩ হাজার টাকাতে বিক্রয় করে খুশি নেই আরিফ নামের এক মৎস্য শিকারীর। তিনি জানান, মুক্ত জলাশয়েরও ফসলি জমির মাঝের পুকুরের মাছ যা বর্ষার পানিতে বড় হয় তার দামও কম। চাষের মাছ দেশের বিভিন্ন বাজারের থাকায় আসল মাছের কদর কম রয়েছে। এতে পাইকাররা আমাদের আসল দাম দেয় না।
শিবালয় উপজেলার উথুলি গ্রামের ইতালি প্রবাসী পিন্টু মাছ কিনতে আড়তে এসেছেন।
তিনি জানান দেশীয় মাছ কিনতে আরিচা আড়তসহ অনেক স্থান থেকে মাছ কিনেছি, তবে পাইকারী আরিচা আড়তের মাছ কম দামে পাওয়া যায়।
আরিচা ঘাট মৎস্য আড়ত কমিটির সভাপতি আবদুল রাজ্জাক জানান, নানা সমস্যা রয়েছে আড়টিতে, বছরের পর বছর নদীভাঙনে জায়গা কমে এসেছে। অন্যদিকে নদীতে চর পড়ায় জেলেরা আড়তে মাছ ধরে নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। আড়তদারদের ঋণ সহায়তারও দরকার। তাই সরকার যদি এসব বিষয় দেখত তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।
ঢাকা, বাংলাদেশ। শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৫:২৩ |
সূর্যোদয় | ভোর ৬:৪৩ |
যোহর | দুপুর ১২:০৮ |
আছর | বিকাল ৩:৫৮ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৫:৩৪ |
এশা | রাত ৬:৫৩ |
About Us Contact Privacy & Policy DMCA Sitemap
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সেরা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম - ২০১৮